‘৪ মেরে ৫০ ছুঁতে চেয়েছিল তামিম’

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেন তামিম ইকবাল। যা দলের ওপর চাপ কমায়। প্রতিপক্ষ বোলাররাও শুরুর পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হয়। পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেও এভাবেই শুরু করেছিলেন তামিম। কিন্তু হঠাৎ ছন্দ পতন ঘটে। নিজের ৪৭ রানের সময় লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ড্যাশিং ওপেনার।

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে উইকেট হারালেও তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে তামিম এদিন দুর্দান্ত খেলেছেন। শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন। শটে নিয়ন্ত্রণও ছিল বেশ ভালো। ঠিকমতো টাইমিংও করতে পারছিলেন। ৫৭ বলে ৪৭ রান করেছেন তামিম। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। তার এই ৪৭ রানের মধ্যে বাউন্ডারি ছিল আটটি। মোট রানের প্রায় ৬০ শতাংশ এসেছে বাউন্ডারির মাধ্যমে। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা তামিম শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরেছেন হাফসেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে।

তাই জেমি সিডন্স বলেন, ‘আমার মনে হয়, চার দিয়ে তামিম পঞ্চাশ ছুঁতে চেয়েছিল। সে ভুলে গিয়েছিল, পুরো ইনিংস কীভাবে খেলেছে। সে নান্দনিক সোজা ব‍্যাটে খেলছিল, পা আড়াআড়ি ছিল না। ওর আগ্রাসী ব‍্যাটিং বোলারদের চাপে ফেলে দিয়েছিল, যেটা ছিল অসাধারণ। আমাদের ড্রেসিংরুম নির্ভার হয়ে উঠেছিল। আমি মনে করি, ৪৭ পর্যন্ত সে ভালো খেলেছে। খুব ভালো হতো, যদি এভাবে চালিয়ে যেতে পারতো।

বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘তামিমের ইনিংস ওর সহজাত ব‍্যাটিংয়েই এগিয়েছে। টেস্ট কিংবা ওয়ানডেতে সে শুরুতে আগ্রাসী থাকে। পরে থিতু হয়। পেসারদের শুধু বাজে বলগুলোর ওপরই চড়াও হয়। আজ বল ভালো ছেড়েছে, ডিফেন্স করেছে। ইনিংসের শুরুতে সে ও শান্ত রাউন্ড দা উইকেটে করা বল খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছে। আমার মনে হয় না, আগ্রাসনের জন‍্য তামিম আউট হয়েছে। এটা ছিল বাজে একটি মানসিক ভুল।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.