ভালো বোলিং করেও আফসোস রয়ে গেল তাইজুলের

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লাগামছাড়া হতে দেননি তাইজুল ইসলাম। ৩২ ওভার বোলিং করে সাতটি মেইডেনসহ ৭৭ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়ে তিনিই বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার। প্রথম দিনের এমন পারফরম্যান্সের পরেও অবশ্য আফসোস থেকে গেল বাঁহাতি এই স্পিনারের।

৭০ রান করা ডিন এলগারকে দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত করেন তাইজুল। প্রোটিয়া অধিনায়ক ফিরে যাওয়ায় একটু বেশিই অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর আরেক সেট ব্যাটার কিগান পিটারসেনকে ফেরান তাইজুল।

বাংলাদেশের টেস্ট বিশেষজ্ঞ স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হওয়ার আগে পিটারসেনের ব্যাটে আসে ৬৪ রান। এরপর আস্তে আস্তে বিপদজনক হয়ে ওঠা রায়ান রিকেল্টনকে (৪২) বিদায় করেন তাইজুল।

তাইজুল বলেন, ‘উইকেটে প্রথম এক ঘণ্টার মতো সহায়তা ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে অনেক ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমরা যদি আরও একটু কমে তাদেরকে রাখতে পারতাম, হয়তো বা তাদের আরও একটু চাপটা বেশি হতো। চাপটা যদি বেশি হতো, তাহলে আরও দু-একটা উইকেট পড়ার চান্স ছিল। আমার মনে হয় একটু ইয়ে হয়ে গেছে আর কী… সামান্য কিছু। আমি চেষ্টা করছি। আসলে এই উইকেটে বেশি জোরাজুরি করার কিছু নেই। কারণ দেখা যাচ্ছে, একটু স্টাম্পের বাইরে বা ওপরে হলে রান হয়ে যায়। জায়গা ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।’

তাইজুল আরও বলেন, ‘ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, লাঞ্চের আগে আমি ৫ ওভার করেছি। তখন আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। কারণ ওই সময় ওদের রানরেট একটু বেশি ছিল। আমার পরিকল্পনা ছিল, রানরেট যদি একটু কমিয়ে আনতে পারি, তাহলে আমি গতি বৈচিত্রের দিকে যাব। চেষ্টা করেছি লাঞ্চের আগে যতটা রান কম দেওয়া যায়। পরে এসে চেষ্টা করেছি রান কমের মধ্যে যদি উইকেট পাওয়া যায়।’

প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৭৮ রান। কাইল ভেরাইনি ১০ ও উইয়ান মাল্ডার শুন্য রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.