ঈদের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন টাকা। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি বছরের মতো এবারও নতুন নোট বিনিময় শুরু করছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বিনিময় করবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ছাড়ছে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট। শুধু ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও পুরাতন নোট বিনিময় কওে নতুন নোট নিতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, বছরের সব সময়ই নতুন নোট ছাপানো হয়। তবে ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বেশি থাকায় ছাপানোর পরিমাণও বাড়াতে হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সারা বছরই বাজারে নোট সরবরাহ করে থাকে। তবে ঈদের আগে নতুন টাকার চাহিদা বেড়ে যায় বলে এসময় বেশি নতুন নোট ছাড়া হয়। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বিনিময়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
নতুন টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক তার সব অফিসের পাশাপাশি মতিঝিল অফিসে গত কয়েক বছর ধরে বায়োমেট্রিক বা হাতের ছাপ পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণের ভিত্তিতে জনসাধারণের জন্য নতুন নোট বিনিময়ের ব্যবস্থা করছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে গত দুই বছর এই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যা এবার আবার চালু করা হয়েছে।
এবারও রোজার ঈদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি রাজধানীর ৩২টি ব্যাংক শাখা থেকে নতুন নোট বিনিময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এবার ২ টাকা ও ৫ টাকার নতুন নোট বিনিময়ের সুযোগ না থাকলেও ১০, ২০, ৫০ টাকার পাশাপাশি ১০০ টাকার নতুন নোটও বদলে নেয়া যাবে। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে নতুন টাকা বিনিময়। চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় এ সেবাটি পাওয়া যাবে না।
প্রত্যেক ব্যক্তি ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকার একটি করে প্যাকেট বদলে নিতে পারবেন। সে হিসাবে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকার নতুন কাগুজে নোট বদলে নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি কাউন্টার থেকে যে কোনো মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা যতটা খুশি নিতে পারবেন গ্রাহকরা।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.