শুধু শুধু ডোমিঙ্গোকে বলির পাঠা বানানো হয়: পাপন

দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়ে টেস্ট সিরিজে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। রঙিন জার্সিতে সিরিজ জয় সফরকারীদের আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে নিয়ে গেলেও, প্রথম টেস্টের শেষ ইনিংসে ছিল পুরো উল্টো চিত্র। ডারবান টেস্টে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ২২০ রানে পরাজিত হয় মুমিনুল হকের দল।

প্রথম চার দিন সমানতালে লড়াই করলেও শেষ দিন মাত্র ৫৫ মিনিটের মধ্যেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাই প্রথম টেস্টে হারের পর সবার আগে আলোচনায় চলে আসে টসের সিদ্ধান্ত। যেখানে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলপতি মুমিনুল। কিন্তু টেস্ট হারের পর জানা গেল, অধিনায়ককে বলা হয়েছিল ব্যাটিং নিতে।

প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড টসের আগেই মুমিনুলকে এই বিষয়ে অবগত করেছিলেন। তাহলে টসের পর কি এমন হলো, যে সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন দলপতি? এমনকি মুমিনুলের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও।

ভেতরের খবর বলছে, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের আপত্তির কারণে টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন মুমিনুল। এক সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমার মনে হয় যেকোনো খারাপ পারফরম্যান্সের পর আমরা শুধু শুধু ডোমিঙ্গোকে বলির পাঠা বানানোর চেষ্টা করি। সব ক্রিকেটাররা কি তার কথা শোনে? আমি জানতে চাই, ক্রিকেটাররা কি সত্যিই শোনে তারা (কোচরা) কী বলতে চায়?’

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘যেসব ক্রিকেটাররা ডোমিঙ্গোর কথা শোনে তারা ঠিকই উন্নতি করছে। আমি লিখে দিতে পারি, যদি ১৫ জন ক্রিকেটারকে ডাকি, অন্তত ১১ জন বলবে ডোমিঙ্গো দুর্দান্ত কোচ। দুই-তিনজন হয়তো আছে, যারা ভিন্ন কথা বলবে এবং তারাই কোচের কথা শোনে না। যারা কোচের কথা শোনে না, তাদেরকে জিজ্ঞেস করে লাভ কী? আমাকে তাদের কথা শুনতে হবে যারা কোচের সঙ্গে কাজ করছে। যখন তারা ফিরবে তখন কোচের সামনে সবার সঙ্গে বসে সবকিছু সমাধান করব।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.