বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত আর্থিক বছরের মত এ বছরও ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি হবে এবং পরবর্তী বছরে তা বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশে যাবে বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি এমন সময় পূর্বাভাস দিয়েছে যখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দুটি দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলূক (এডিও)’-এ প্রকাশিত প্রকাশনায় বাংলাদেশের জিডিপির উপর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
এডিবি বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর এডমন জানান, চলমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ধরে রাখতে দেশিয় সম্পদরাজি গতিশীল রাখা প্রয়োজন, নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা তৈরি করতে বেসরকারি খাতে প্রণোদনা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের চূড়ান্ত হিসাব শেষে দেখা যায় যে, গত বছর বাংলাদেশর অর্থনীতি জিডিপি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার চলতি অর্থবছরে বার্ষিক জিডিপর লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কিন্তু বৈশ্বিক করোনা মহামারী সংক্রমণের ৩য় ঢেউ লাগতে পারে এ আশঙ্কায় জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এডিবি আরও জানায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক গড় প্রবৃদ্ধির পরিমাণ হবে। অর্থাৎ ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তাছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি দৃঢ়ভাবে ধরে রাখায় পরবর্তী বছর বাংলাদেশ ভারতের অর্থনৈতিক জিডিপির কাছাকাছি চলে যাবে।
অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.