ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। ব্যাটিংয়ে তখন হাফ সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ রসূল। প্রথম বলে রান নিতে না পারলেও রবিউল হকের পরের বলে মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন ভারতের এই ব্যাটার। তৃতীয় বলে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে প্রাইম ব্যাংকের কাছে থেকে ম্যাচ কেড়ে নেন পারভেজ। পঞ্চম বলে ২ রান নিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকে ১ উইকেটে হারায় শেখ জামাল।
ইউল্যাব মাঠে জয়ের জন্য ২৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করেন শেখ জামালের দুই ওপেনার সৈকত আলী এবং সাইফ হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়ে উইকেট হারায় শেখ জামাল।
অলক কাপালির বলে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১১ রান করা সাইফ ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। তিনে নামা ইমরুল কায়েসও দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন। ইমরুলের সঙ্গে জুটি বড় হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন সৈকত।
চারটি ছক্কা এবং পাঁচটি চারের সাহায্যে ৬৪ বলে ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে কাপালির বলে আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। থিতু হতে পারেননি চারে নামা রবিউল ইসলাম রবি। শেখ মেহেদির বলে ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
পাঁচে নামা তাইবুর ৬ এবং উইকেট কিপার জহুরুল হক অমি আউট হয়েছেন মাত্র ১৬ রানে। এদিকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ইমরুল রান আউটে কাটা পড়েছেন ৫২ রানে। জিয়াউর রহমান-সানজামুল হকরাও ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিও আউট হয়েছেন ১১ রানে। তবে শেখ জামালকে জয় এনে দেন পারভেজ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ভারতের এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি, রাকিবুল হাসান এবং কাপালি।
এর আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেছেন বিজয়। এ ছাড়া অভিমন্যু ইশ্বরন করেছেন ৮১ বলে ৬২ রান। শেখ জামালের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন পারভেজ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.