আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করবে বাংলাদেশ

ডারবান টেস্টে আম্পায়ারদের বেশি কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়েছে। টেস্টের আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর জানিয়েছিলেন, এমন অধারাবাহিক আম্পায়ারিং অনেকদিন পর দেখেছেন তিনি।

এদিকে ওয়ানডে সিরিজের পর ডারবান টেস্টের আম্পায়ারিং নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করবে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

এ প্রসঙ্গে জালাল বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজের পর ইতোমধ্যে আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ম্যাচ রেফারি প্রথমে আমাদের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু আমরা যখন তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম তখন নরম হয়েছিলেন। আমরা এই ম্যাচ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করবো।’

আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্নের শুরুটা চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভার থেকেই। মেহেদি হাসান মিরাজের মিডল স্টাম্পের বাইরের বল প্যাডে লাগলে লেগ বিফোরের আবেদন করে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। যে কারণে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। যদিও আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান এলগার। আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার এলগার এবং এরউইকেও আউট করতে হয়েছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে। এবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সুইংয়ে করে স্টাম্পে ঢোকার সময় এরউইয়ের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। তাতেই সাজঘরে ফেরেন এরউই।

এরপর ৭৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা এলগারকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ভেতরে ঢোকার সময় ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এলগার। বল প্যাডে লাগলেও আরও একবার আউট দেননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় বাংলাদেশ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.