৫৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ডারবানে পঞ্চম দিনের সকালে কোনো এক দুঃস্বপ্নই যেন তাড়া করেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের। শেষ দিনে উইকেটে স্পিন ধরবে, স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যাবে বাংলাদেশী ব্যাটিং লাইনাআপ। তা হয়তো মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসরা নিজেরাও ভাবেননি।

দিনের প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর হারটা ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। পঞ্চম দিনে ১ ঘন্টাও টিকেনি বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগাররা অলআউট হয়েছে ৫৩ রানে। আর তাতে প্রোটিয়াদের জয় ২২০ রানের।

ডারবান টেস্ট জিততে হলে শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬৩ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট। আর যদি ড্র করতে হয় তাহলে অন্তত ৯০ ওভার উইকেটে থাকতে হবে। শেষ দিনে এমন সমীকরণই ছিল বাংলাদেশের সামনে। কোনোটাই পারেনি তারা।

আগের দিনের ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুর করে মুমিনুল হকের দল। এদিন প্রথম ওভারেই আক্রমণে আসেন কেশব মহারাজ। আর এই ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুশফিকুর রহিমকে। দিনের প্রথম ওভারে মুশফিকের বিদায়ের পর তৃতীয় ওভারে ফিরে যান লিটন দাস। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারও মহারাজের শিকারে পরিণত হয়েছেন। ইনিংসের পঞ্চম আর নিজের তৃতীয় ওভারে ইয়াসির আলী রাব্বীকেও ফিরিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট পূরণ করেন তিনি।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়েছেন সাইমন হার্মার। মিরাজের বিদায়ে ৩৩ রানেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভালো শুরু পেয়ে এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। এই টপ অর্ডার ব্যাটার স্ট্যাম্পিয়ের শিকার হয়েছেন ২৬ রান করে। আর তাতে ৫০ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ১৪ রান করলে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫৩ রানে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র দুই জন বোলার ব্যবহার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এই দুজন মিলেই ইনিংসের পুরো ১০ উইকেট তুলে নিয়েছেন। কেশব মহারাজ একাই শিকার করেছেন ৩২ রানে ৭ উইকেট। আর তাতে প্রোটিয়ারা ২২০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে। ডারবান টেস্ট জিতে সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.