দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় চরম জালানি ও খাদ্য সংকট। পরিস্থিতি ভিন্নরূপ নেওয়ায় দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ বন্ধ করে টানা ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে। এ সময় ৫৩ জন বিক্ষোভকারী ও পাঁচজন ফটোজার্নালিস্টকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) মাগরিবের নামাজের সময় থেকেই কারফিউ জারি করে দেশটি। অর্থনৈতিক মহামন্দায় থাকা দেশটির রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপকশা জনগণের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন।
এতে বলা হয়েছে, কোন নাগরিক রাস্তা-ঘাট, পার্ক, নদ-নদী-সমুদ্র ও ট্রেনে চলাচল করতে পারবে না। যদি বের হওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে সময় পার করছে শ্রীলঙ্কা। জালানি তেল, মেডিসিন ও খাদ্যদ্রব্য কেনার মতো পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা তাদের কাছে নেই। এমতাবস্থায় জনসাধারণ দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অপসারণে রাস্তায় নেমে আসে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকশার বাসভবনের সামনে প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি দাবানলে রূপ নেয়।
জানা যায়, পুলিশ তাদের উপর টিয়ার গ্যাস, জলকামান ছোঁড়ে এবং তাদেরকে মারধরও করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষিপ্ত জনতা পাথর ছোঁড়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত দু’ডজন পুলিশ আহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়।
স্থানিয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, টহলরত পুলিশ শুক্রবার ৫৩ জন জনতা ও ৫ জন ফটো জার্নালিস্টকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। তাদেরকে থানায় টর্চারও করা হয়। এদিকে সরকার বলছে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.