টানা দ্বিতীয় শতকে পাকিস্তানকে সিরিজ জেতালেন বাবর

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান বন্যা দেখেছে দর্শকরা। কিন্তু সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। এই ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে কোনো রকমে দুইশ পার করেছে অজিরা। অবশ্য ছোট লক্ষ্য তাড়ায় সাবলীল ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান। বাবর আজমের টানা দ্বিতীয় শতকে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর শেষ দুই ওয়ানডে জেতায় সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাবরের দল।

২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি ফখর জামান। ১২ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সাফল্য বলতে এতটুকুই। বাকিটা জুড়ে শুধুই পাকিস্তানের দাপট।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর এদিনও ব্যাট হাতে রীতিমতো শাসন করেছেন। হাঁকিয়েছেন টানা দ্বিতীয় শতক। পাকিস্তান অধিনায়কে অপরাজিতর ১০৫ আর ইমাম উল হকের অপরাজিত ৮৯ রানের সুবাদে এক উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দল। আর তাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

এর আগে লাহোরে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেডকে ম্যাচের প্রথম বলে বোল্ড করেন শাহিন আফ্রিদি। শূন্য রানে হেডের বিদায়ের পর দ্বিতীয় ওভারে অ্যারন ফিঞ্চও সাজঘরে ফিরেন ডাক মেরে। তখনও রানের খাতা খুলতে পারেনি অজিরা।

শূন্য রানে দুই উইকেট হারানো দলকে পথ দেখাতে গুরুদায়িত্ব তখন মার্নাস ল্যাবুশেনের কাধেঁ। কিন্তু এই টপ অর্ডার ব্যাটারও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ল্যাবুশেন যখন সাজঘরে ফেরেন তখন ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় অজিরা। এখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন বেন ম্যাকডারমট আর মার্কাস স্টইনিস। তাদের ৫৩ রানের জুঁটিতে কিছুটা স্বতি ফিরে অজি শিবিরে। কিন্তু ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি স্টইনিস। আর ম্যাকডারমটের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ রান।

শেষদিকে অ্যালেক্স ক্যারির দলীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান আর শন অ্যাবর্টের ৪৯ রানের সুবাদে দুইশ পার হয় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ৪১ ওভার ৫ বলে ২১০ রানে অলআউট হয় ফিঞ্চের দল। পাকিস্তানের হয়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন হারিস রউফ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.