সেনা ও আইএসআই প্রধানের সঙ্গে বৈঠক, আরও কোণঠাসা ইমরান

পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আগে আরো চাপে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বিদেশি চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন। হুমকি বার্তা সামনে এনেছেন। এদিকে ইমরান খানের গুরুত্বপূর্ণ জোট শরিক এমকিউএম(পি) বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছে।

বুধবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, দেশের স্বার্থে তারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করছে।

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, এমকিউএমের বিরোধী শিবিরে চলে যাওয়ার অর্থ, ইমরান খান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়লেন। আগামী ৩ এপ্রিল আস্থাভোট হওয়ার কথা। পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন না হলে ইমরানের বিদায় পাকা বলে ডন জানিয়েছে।

ইসলামাবাদে এমকিউএমের আহ্বায়ক খালিদ মকবুল সিদ্দিকি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার সঙ্গে ,সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটা একটা পরীক্ষা, যাতে জাতীয় নেতাদের সফল হতে হবে। সাধারণ মানুষের উচ্ছে পূরণ হচ্ছে। আমরা আশা করব, এবার গণতন্ত্রের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।

পিপিপি নেতা বিলাওয়াল বলেছেন, পিপিপি ও এমকিউএম শুধু এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে হাত মেলায়নি। তারা ভবিষ্যতেও হাত ধরেই চলবে। তার দাবি, ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তাই ভোটাভুটি বৃহস্পতিবারই হয়ে যাক।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন থাকলেই সরকার গঠন করা যায়। বিরোধীদের দাবি, তাদের সঙ্গে এখন ১৭৬ জন সদস্য আছেন। ফলে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং তারাই পরবর্তী সরকার গঠন করবেন বলে বিরোধী নেতারা জানিয়েছেন।

ইমরান খান দুই বার সেনা ও আইএসআই প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশি শক্তি তার সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে। তার প্রমাণ হিসাবে তিনি একটি হুমকি বার্তা সামনে এনেছেন। সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, সরকার জানিয়েছে, বিদেশে একটি দূতাবাস এই হুমকি বার্তা পেয়েছিল।

এই বার্তাটি প্রথমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পড়ে শোনানো হয়। পরে কয়েকজন প্রবীণ সাংবাদিককে মন্ত্রিসভা বৈঠকের মিনিটস পড়ে শোনানো হয়েছে। বৈঠকে কোনো দেশের নাম নেয়া হয়নি। তবে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, যে দেশের থেকে এই হুমকি বার্তা এসেছে, তারা ইমরান খানের রাশিয়া সফর ও রুশদের সমর্থন করা ভালোভাবে নেয়নি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, রয়টার্স, ডন

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.