সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ঈশ্বরীপুর গ্রামে গভীর নলকূপ থেকে বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে অভিমানে বিষাক্ত কীটনাশক পান করে ২ সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চার সদস্যের এই কমিটিকে তদন্ত শেষে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সিনিয়র সহকারী সচিব তাসনিম জেবিন বিনতে শেখের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটিতে কৃষি মন্ত্রণালয় যু্গ্মসচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলুকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, নাটোর বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং নওগাঁ বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সমশের আলী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ মার্চ ‘সারাবাংলা দেশ নেট’ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ‘জমিতে পানি দেয়নি পাম্প অপারেটর, ক্ষোভে কৃষকের আত্মহত্যা’ এবং ২৭ মার্চ ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সেচের পানি না পেয়ে বিষপান: আরেক কৃষকের মৃত্যু’ শীর্ষক সংবাদ দুটোতে প্রকাশিত কৃষক দুজনের মৃত্যুর কারণ এবং সেচের পানি সময়মত না পাওয়ার কারণ উদঘাটন করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে অভিমানে দুই চাচাতো ভাই রবি মার্ডি ও অভিনাথ মার্ডি গত ২৩ মার্চ কীটনাশক পান করেন। এতে দুজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২৪ মার্চ অভিনাথ মার্ডি মারা যান। ২৬ মার্চ মারা যান রবি মার্ডি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.