গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা ১১ পয়সা বাড়িয়ে ১২ টাকা ৪৭ পয়সা নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি (মূল্যায়ন) কমিটি। এদিকে বর্তমান বাজারে নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন ভোক্তারা। তারা কোম্পানিগুলোর এই প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানান।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানিতে এ দাবি জানান ভোক্তারা।

এ বিষয়ে কনজুমার অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ‘গ্যাস কোম্পানিগুলো প্রচুর মুনাফা করছে। সরকারকে উদ্বৃত্ত টাকা দিচ্ছে। উন্নয়ন কাজের জন্য গ্রাহকের পকেট থেকে এখনই গ্যাসের দামের সঙ্গে গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের নামে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে। এই অবস্থায় কোম্পানিগুলোর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। তারা ব্যবসা করার নামে গ্রাহকের টাকা দিয়ে যাচ্ছেতাই করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যেখানে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস দিতে পারছে না , ডিমান্ড পূরণ করতে পারছে না, সেখানে তারা ডিমান্ড চার্জ বাড়াতে চাইছে; যা অবাস্তব।’

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান বলেন, ‘বছর বছর গ্যাসের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়ে। সরকারের উচিত প্রতি পাঁচ বছর পর পর গ্যাসের দাম সমন্বয় করা। যাতে করে ব্যবসায়ীরা সে অনুযায়ী ব্যবসার পরিকল্পনা করতে পারে। আজ যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আশা করছি, কমিশন সাধারণ মানুষের বিষয়টি আমলে নিয়ে ও কোম্পানির মুনাফা বিবেচনা করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

এর আগে সোমবার রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবিত দামের ওপর গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়। শুনানিতে বলা হয়, পেট্রোবাংলা গ্যাসের ঘনমিটার প্রতি ১৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.