শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৭ লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে আরও এক পুরুষ যাত্রীর লাশ উদ্ধারের তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন। তবে ওই যাত্রীর নাম নিখোঁজ পাঁচ জনের তালিকায় ছিল না বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।

এ নিয়ে দুর্ঘটনার পর সাতজনের লাশ উদ্ধার হলো। এদের মধ্যে দুই পুরুষ, তিন নারী ও দুই শিশুর লাশ রয়েছে। এর আগে ভোর ৫টায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে নদীর তীরে টেনে তুললেও ভিতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করছে।

এর আগে রোববার দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী ‘আফসার উদ্দিন’ নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের ১৫ থেকে ২০ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। লঞ্চটিতে প্রায় অর্ধ-শতাধিক যাত্রী ছিল বলে বেঁচে ফেরা কয়েকজন যাত্রী দাবি করেন। পরে গতকাল ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ছিলেন ১৭ জন।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে চার জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল আবেদীন ভূইয়া (৫০), মুন্সীগঞ্জের রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫) ও তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।

এদিকে দুর্ঘটনার পর ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ আটক করেছে নৌ পুলিশ। রোববার দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনার পরই ওই কার্গোটি মুন্সিগঞ্জের হোসেন দি ডকইয়ার্ডে নোঙ্গর করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে কার্গোটি আটক করে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.