আমরা এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ জিততে চাই: মিরাজ

লম্বা সময় ধরেই ঘরের মাঠে ওয়ানডে সংস্করণে সমীহ জাগানিয়া দল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নিয়মিত সিরিজ জিতলেও দেশের বাইরে জয় পেতেও বেগ পেতে হতো টাইগারদের। তবে নতুন পরিকল্পনায় দেশের বাইরেও ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে শুরু করেছে তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা।

একটা সময় শুধু মাত্র দেশের বাইরে সিরিজ জেতার প্রত্যাশা করলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ওয়ানডেতে হারানোর পর এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেন, ‘স্বপ্ন যদি বড় না থাকে তাহলে তো এগোনো যায় না। আমাদের সবার স্বপ্ন অনেক বড়। আমরা ভালো কিছু করতে চাই। দেশে যেমন সিরিজ জিতি, বাইরেও জিততে চাই। আমরা এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমাদের তেমনই চিন্তা-ভাবনা, আমরা কীভাবে বিশ্বকাপ চ‍্যাম্পিয়ন হতে পারি এবং দেশের বাইরে সিরিজ জিততে পারি। এখন আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করছি এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। আমরা কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলে জয় অর্জন করতে পারি।’

ঘরের মাঠে বরাবরই ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়ে থাকেন মিরাজ। তবে ঘরের মাঠের মতো বিদেশের মাটিতে সেভাবে সাফল্য পাওয়া হয়নি এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের শুরুর দিকেও ছিলেন বেশ খরুচে। নিজের প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩৮ রান দিলেও পরের ৫ ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান। সেই সঙ্গে নিয়েছেন ৪ উইকেট। শুরুর দিকে রান দেয়ায় খানিকটা দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন মিরাজ। তবে ৪ ওভার বোলিং করার পর ব্রেক পেয়ে নিজেই নিজেকে মানসিকভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি।

এই স্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘প্রথম চার ওভারে যে বোলিং করেছিলাম, তখন আমি নিজেই একটু দ্বিধায় ছিলাম। কারণ, ওরা খুব ভালো ব‍্যাটিং করছিল এবং আমাকে চার্জ করছিল। আমি একটু দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম, কোন লেংথে বোলিং করব, কীভাবে বলটা করব। পেছন থেকে মুশফিক ভাই বলছিল, একটু ভেরিয়েশন করে বোলিং করলে ভালো হয়। তবে আমি সেটা সেভাবে করতে পারিনি। কারণ, সে সময় আমি সেই পরিস্থিতিতে ছিলাম না, ওরা আমাকে চার্জ করছিল। আমি বেশি রান দিয়ে দিচ্ছিলাম।’

‘মাঝে যখন আমাকে একটা বিরতি দেওয়া হলো, আমি প্রস্তুতি নিলাম যে, আমাকে ভালো করতে হবে। কারণ, এই ম‍্যাচে যদি আমি ভালো করতে না পারি আমাদের হেরে যাওয়ার শঙ্কা থাকবে। কারণ, তখনও আমার ৬ ওভার বাকি ছিল। সে সময় আমি নিজেকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছি এবং নিজের সঙ্গে কথা বলেছি যে, আমি পারব। আমি নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করেছি সেই সময়। দ্বিতীয় স্পেল যখন বোলিংয়ে এসেছি তখন খুব ভালো হয়েছে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.