কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ

রমজানে সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দুই দফায় ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে ফ্যামিলি কার্ডের ভিত্তিতে পণ্য বিক্রয় শুরু হচ্ছে আজ।

রোববার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া প্রথম দফার কার্যক্রম চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হ‌য়ে চল‌বে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। সারা দেশে এক হাজার ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে এসব পণ্য সরবরাহ করবে সরকারি বিপণন এ সংস্থাটি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সভাকক্ষে গত শুক্রবার টিসিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সংবাদ সম্মেলনে সা‌র্বিক বিষ‌য় তু‌লে ধ‌রে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান জানান, রোববার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রোজার আগে প্রথম পর্বে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। এরপর রোজা শুরু হলে ৩ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে ওই তিন পণ্যের পাশাপাশি ছোলাও বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঢাকায় এসব পণ্যের সঙ্গে খেজুরও বিক্রি করা হবে।

‘উপকারভোগী’ পরিবারের মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হবে। এছাড়া ২ কেজি করে ছোলা পাবেন ৫০ টাকা দরে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী সুবিধাভোগী পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকায় করোনাভাইরাসের মহামারির সময় নগদ সহায়তা পাওয়া ৩০ লাখ পরিবার রয়েছে। এছাড়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনসংখ্যার দারিদ্রতার সূচক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার কার্ড। সব মিলিয়ে ৮৭ লাখ পরিবার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে।

তবে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ দুই নগরীর মানুষকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.