রক্তদাতাদের সম্মাননা দিয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছে এমন তিন শতাধিক রক্তদাতাদের সম্মাননা জানিয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। প্রধান অতিথি হিসেবে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

সোমবার (১৮ মার্চ) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম রেজাউল হাসান, প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারি।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন, আপনারা সমাজে অনেক বড় অবদান রাখছেন। যারা রক্তের জন্য বিপদে পড়েছে তারাই জানে সময়মতো রক্ত না পেলে কি হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশ এগিয়ে যায় সবার সহযোগিতায়। অনেকে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে চায় কিন্তু এরজন্য একটি প্ল্যাটফর্ম লাগে, কোয়ান্টাম সে জায়গাটি তৈরি করেছে। অনেক গরিব অসহায় মানুষ কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রক্ত পায়। এ জন্য তিনি কোয়ান্টামের স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানান।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম.রেজাউল হাসান বলেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা মানবিক জাতি। করোনা মহামারিতে ভয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৃত্যুবরণকারীদের লাশ দাফন করা হয়নি। আমাদের দেশেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিন্তু ওই সময় আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা লাশ দাফনের কাজে এগিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, রক্তের চাহিদা পূরণের লক্ষে ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে কোয়ান্টাম। কোয়ান্টামের বেশির ভাগ রক্ত পেয়ে থাকে থ্যলাসিমিয়া রোগীরা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮ মিলিয়ন ব্যাগ রক্ত দরকার। সেখানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গত বছর করোনা মহামারিতে ১ লাখ ৬ হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছে যা প্রত্যাশিত চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

এরপর সমাপনী বক্তব্যে মিসেস নাহার আল বোখারী বললেন, “যারা রক্তদান করেছে তাদের ঋণ জাতি কখনো শোধ করতে পারবে না, ঠিক যেমনটি করে বাংলাদেশ পারবে না শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে।

অর্থসূচক/আরএমএস/এইচডিএন/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.