ইংল্যান্ডের ‘অশ্রদ্ধায়’ ক্ষিপ্ত ব্র্যাথওয়েট

নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচে ইংলিশ ক্রিকেটারদের সমালোচনা করেছেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তার মতে, জো রুটবাহিনী যে আচরণ করেছে সেটা অবশ্যই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের জন্য অসম্মানজনক। অ্যাশেজ বা বড় দলের বিপক্ষে কোনো সিরিজে ইংলিশরা অসম্মানজনক কিছু করতে পারতো কিনা, সেই প্রশ্নও রেখে গেছেন তিনি।

শেষদিনে ২৮৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে দলটি তোলে ৫৯ রান। কিন্তু এরপর দলীয় ৬৭ তে পৌঁছাতেই আরও তিন উইকেট হারায় তারা। স্টোকসের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৩৩)। এরপর কয়েক ওভারের ব্যবধানে জন ক্যাম্পবেল (২২), শামারাহ ব্রুকস (৫) ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে (২) ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন স্পিনার জ্যাক লিচ। যদিও আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এনক্রুমাহ বোনার ও জেসন হোল্ডার।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া বোনার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন। সঙ্গী হোল্ডার ১০১ বল খেলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এই দুজন বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন। ম্যাচ জিততে ইংলিশদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ছয় উইকেটের। আর ম্যাচের মাত্র পাঁচ বল বাকি থাকতে ড্র মেনে নেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। অর্থাৎ, ইংলিশদের আত্মবিশ্বাস ছিল, যেকোনোভাবেই তারা ক্যারিবিয়ানদের বাকি ছয় উইকেট নিয়ে নেবেন।

এর সমালোচনা করে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট বলেন, ‘আমি যদি ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট হতাম অথবা ড্রেসিং রুমে থাকা কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার হতাম, তাহলে এটাকে আমি অশ্রদ্ধা হিসেবে নিতাম। শেষ ঘণ্টায় দুই সেট ব্যাটার ব্যাটিং করছিল। উইকেটে কিছুই ছিল না। ইংল্যান্ড এমন অনুভব করেছিল যে তারা শেষ ১০, ৯, ৮, ৭, ৬, ৫, ৪ বলেও উইকেট নিয়ে নেবে। পাঁচ বল বাকি থাকতেও তারা এমন ভেবেছিল। এটা যদি অ্যাশেজ সিরিজ হতো তাহলে ইংল্যান্ড এমনটা করত। তারা কি এমনটা নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে করত? যদি এর উত্তর না হয়, তাহলে আমার প্রশ্ন ওরা আমাদের সাথে এমন করল কেন?’

এমন ঘটনায় ইংলিশরা সমালোচনায় ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারেও। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটিং স্পিরিট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.