কিয়েভের অর্ধেক লোক পালিয়ে গেছে: শহরের মেয়র

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র বলছেন, প্রায় ২০ লাখ লোক শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন– যা রাজধানীর জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। খবর- বিবিসির

ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, শহরের প্রতিটি রাস্তা এবং ভবন এখন এক দুর্গে পরিণত হয়েছে।

রুশ বাহিনী এখন শহরটির আরো কাছাকাছি চলে এসেছে, এবং একটি হাইওয়ের নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য ইউক্রেনীয় ও রুশ সৈন্যদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে।

এদিকে রাশিয়ান বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভের তিন মাইল বা পাঁচ কিলোমিটার কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে, একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো ছবিতে কিয়েভের কাছে একটি রুশ সেনাবহর দেখা গিয়েছে। সেখানে কিয়েভের আশেপাশের অঞ্চলে রুশ বাহিনীকে পুনরায় মোতায়েন হতে দেখা গেছে। এটি ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে রুশ বাহিনীর নতুন করে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ম্যাক্সার টেকনোলজিস এর মতে, কনভয়গুলোকে শেষবার আন্তোনভ বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেখা গিয়েছিল- কিন্তু এখন সেগুলো আশেপাশের শহরে অবস্থান নিতে সরে গিয়েছে।

যে অন্যান্য ছবিতে দেখা যায় যে, কিছু কনভয় লুবিয়াঙ্কার কাছে অবস্থান নিয়েছে এবং কাছাকাছি আর্টিলারি স্থাপন করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছিলেন, রুশ বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভের তিন মাইল বা ৫ কিলোমিটার কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে। এর অর্থ হল, রাজধানীর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এগিয়ে আসা রাশিয়ান সৈন্যরা এখন কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র নয় মাইল বা ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

সেইসাথে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এগিয়ে আসা রাশিয়ান বাহিনী শহর থেকে ২৫ মাইল বা ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। উত্তরের শহর চেরনিহিভ এখন ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছে বলে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া খারকিভে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খারকিভে রাতভর বিমান হামলা চলে। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হন আরও শতাধিক মানুষ। ইউক্রেনীয় সৈন্যরাও সামনের সারিতে থেকে প্রতিরোধের কথা জানায়।

জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালানো লোকের সংখ্যা এখন ২৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.