তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে বাড়তি সুযোগ নিচ্ছে। এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে সরকার। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের হলরুমে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেছেন ‘মির্জা ফখরুল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে গণমাধ্যমে যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এজন্য বাংলাদেশেও কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। যাতে সাধারণ মানুষ কম দামে পণ্য কিনতে পারেন সেজন্য টিসিবির গাড়ি বাড়ানো হয়েছে। কোটি মানুষকে কম দামে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন ভয় পায়। জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাসের রাজনীতির কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দণ্ডিত আসামি হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এই কারণে নির্বাচনে আগ্রহ নেই বিএনপির। তারা দলকে নির্বাচনমুখী করতে চায় না। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সারাদিন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল কথা বলেন। রিজভী সাহেব নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকেন। সেখানে খান ও সেখানেই ঘুমান। সে কারণে দেশের অবস্থা জানেন না। দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকতে থাকতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে রিজভী সাহেবের।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার রায়সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.