রোববার শপথ গ্রহণের পর আজ থেকে নির্বাচন কমিশনে অফিস শুরু করেছেন কমিশনাররা। এর মধ্য দিয়ে ১৩ দিন পর ফের কর্মচঞ্চলতা ফিরে এলো ইসিতে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ১০টার দিকে পুরো কমিশন ইসি সচিবালয়ে গেলে সচিবসহ সব কর্মকর্তা নির্বাচন ভবনের নিচে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নবনিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
বেলা ১১টায় ইসির কনফারেন্স রুমে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হবেন সিইসি ও অন্য কমিশনাররা। এর পর দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা রয়েছে নতুন কমিশনারদের।
এর আগে রবিবার বিকালে শপথ নেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন কমিশনার। শনিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই কমিশনের কার্যকাল পাঁচ বছর। সে হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিদায়ের পর ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পাঁচ সদস্যের কমিশন শপথ নেয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। এ হিসেবে প্রথমবারের মতো ১২দিন ফাঁকা থাকে পুরো কমিশন। এদিক থেকে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ পূর্তি হবে ২০২৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।
নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
এ পর্যন্ত ১৩ জন সিইসি নিয়োগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন বিচারপতি আর ছয়জন সাবেক আমলা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.