মাশরাফি বিন মর্তুজা ও রাসেল ডমিঙ্গো ইস্যুতে কম জলঘোলা হয়নি। বাংলাদেশের এই প্রধান কোচের অধীনেই সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দলের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক। ২০২০ সালে নেতৃত্বকে বিদায় জানানো মাশরাফি এরপর আর সুযোগ পাননি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে।
অবশ্য ডানহাতি এই পেসার মাসখানেক পরই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ডোমিঙ্গো তাকে এককাপ কফি খাওয়ার দাওয়াত দেবেন। কিন্তু সেই দাওয়াত তিনি তখনও পাননি। এবার প্রায় ২ বছর পর আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে উঠে এল সেই ‘কফি’ প্রসঙ্গ।
আর প্রসঙ্গ উঠতেই ডোমিঙ্গো জানালেন আপাতত এসব নিয়ে ভাবছেন না, তবে আলাপ শেষে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়কে ‘হাই’ জানিয়ে গিয়েছেন তিনি। ডমিঙ্গো বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি আবারও বলব এই মুহূর্তে আমি স্কোয়াডের বাইরে নেই এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নই। যেমনটা আমি বললাম বাইরের কথা বার্তা বা মানুষজন যা বলে সেসব আমার জীবনে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমার দলে, পরিবারে কিংবা আমার কাজের ক্ষেত্রেও।’
তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে মাশরাফি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মাশরাফিকে আমার পক্ষ থেকে হাই জানিও।’
মূলত ম্যাশ-ডমিঙ্গোর কফির দাওয়াত ছিল রূপক অর্থে। ২০২০ সালে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো মাশরাফিকে ওয়ানডে দলে আর বিবেচনা করা হবে কিনা সেই আলোচনাই হয়তো হতে পারতো সেই আড্ডায়। কিন্তু ২ বছরেও তাদের কফির আড্ডায় বসা হয়নি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পরই মাশরাফির বিদায় নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠে। তবে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কত্ব ছেড়ে সে পথ কিছুটা পরিষ্কার করেন মাশরাফি নিজেই।মাশরাফি আর সুযোগ পাননি, তবে কেটে গেছে দুই বছর। অবশেষে সেই কফির দাওয়াত প্রসঙ্গে ডোমিঙ্গোকেও আজ দিতে হল উত্তর।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.