আফগানদের নাগালে রাখল বাংলাদেশ

টস ভাগ্য যায়নি বাংলাদেশের পক্ষে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টসের লড়াইয়ে জিতে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেড়ি করেননি হশমতউল্লাহ শাহিদি। প্রথমে ব্যাটিং করে নাজিবউল্লাহ জাদরানের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন গুরবাজ। সামনে এগিয়ে বাঁহাতি এই পেসারকে মারতে গিয়ে ৩০ গজের একটু বাইরে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন আফগান এই ওপেনার।

১৪ বলে ৭ রান করে গুরবাজ ফিরে গেলে হাল ধরেন তিনে নামা রহমত শাহ ও জাদরান। তাদের ব্যাটেই এগোতে থাকে সফরকারীরা। ১৩ ওভারে দলটির স্কোরবোর্ডে ৫০ রানও তুলে ফেলে এই জুটি। এমনকি সেই ওভারে সাকিব আল হাসানকে জোড়া বাউন্ডারিও হাঁকান রহমত।

১৪তম ওভারে এসে অবশ্য আবারও ব্রেক-থ্রু পায় বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাদরান। ইয়াসিরের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ২৩ বলে ১৯ রান। সঙ্গী হারালেও হাশ মতউল্লাহকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন রহমত।

দলীয় ৭৯ রানে তাদের জুটিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তাসকিন আহমেদ। ৬৯ বলে ৩৪ রান করা রহমত বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হয়ে। এরপর অধিনায়ক ও নাজিবউল্লাহ জাদরান মিলে দলকে ১০০ রানের পুঁজি এনে দেন। সেঞ্চুরি পর অবশ্য উইকেটে বেশীক্ষণ থাকতে পারেননি আফগান দলপতি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৪৩ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এই জুটিতে আবারও স্কোরবোর্ডে রান বাড়াতে থাকে সফরকারীরা।

নিজেদের মধ্যে ৫০ রানের জুটি গড়ার সঙ্গে দলকে ১৫০ রানের পুঁজিও এনে দেন দুজন। তবে দলীয় ১৬৫ রানে নবীকে মুশফিকের তালুবন্দি করে বিদায় করেন মুশিফক। সঙ্গী হারালেও নাজিব রান বাড়াতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দিতে থাকা গুকবাদিন নাইবকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব।

২১ বলে ১৭ রানে এই অলরাউন্ডার ফেরার পরের বলেই রশিদ খানকে ০ রানে বোল্ড করেন সাকিব। এরপরের ওভারে মুজিব উর রহমানকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মুস্তাফিজ। ২০০’র আগে ৮ উইকেট হারালেও নাজিবের ব্যাটে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান যোগ করে আফগানিস্তান।

শেষের দিকে নাজিব দ্রুত কিছু রান তুলে আফগানদের রান বাড়িয়ে যান। তবে ৪৯তম ওভারে শরিফুলকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ’র তালুবন্দি হন তিনি। ৮৪ বলে ৬৭ রানে বিদায় নেন এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ ওভারে আবারও মাহমুদউল্লাহ’র ক্যাচে থামে আফগানদের ইনিংস। শেষ উইকেটনি নেন মুস্তাফিজ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.