৪ উইকেট হারিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় আফগানিস্তান

টস ভাগ্য যায়নি বাংলাদেশের পক্ষে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টসের লড়াইয়ে জিতে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেড়ি করেননি হশমতউল্লাহ শাহিদি। ২২গজে নেমে শুরুতে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারালেও রহমত শাহ ও ইব্রাহীম জাদরানের প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আফগানিস্তান। তবে তাদের বিদায়ের পর এই মুহূর্তে ৩৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ১২৬ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন গুরবাজ। সামনে এগিয়ে বাঁহাতি এই পেসারকে মারতে গিয়ে ৩০ গজের একটু বাইরে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন আফগান এই ওপেনার।

১৪ বলে ৭ রান করে গুরবাজ ফিরে গেলে হাল ধরেন তিনে নামা রহমত শাহ ও জাদরান। তাদের ব্যাটেই এগোতে থাকে সফরকারীরা। ১৩ ওভারে দলটির স্কোরবোর্ডে ৫০ রানও তুলে ফেলে এই জুটি। এমনকি সেই ওভারে সাকিব আল হাসানকে জোড়া বাউন্ডারিও হাঁকান রহমত।

১৪তম ওভারে এসে অবশ্য আবারও ব্রেক-থ্রু পায় বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাদরান। ইয়াসিরের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ২৩ বলে ১৯ রান। সঙ্গী হারালেও হাশ মতউল্লাহকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন রহমত।

৭৯ রানে তাদের জুটিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তাসকিন আহমেদ। ৬৯ বলে ৩৪ রান করা রহমত বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হয়ে। এরপর অধিনায়ক ও নাজিবউল্লাহ জাদরান মিলে দলকে ১০০ রানের পুঁজি এনে দেন। দলীয় সেঞ্চুরি পর অবশ্য উইকেটে বেশীক্ষণ থাকতে পারেননি আফগান দলপতি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৪৩ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এই মুহূর্তে ক্রিজে আছেন নাজিবউল্লাহ ও মোহাম্মদ নবি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.