সূর্যকুমার যাদব এবং ভেঙ্কটেস আইয়ারের শেষের ঝড়ে বড় পুঁজি পেয়েছিল ভারত। ১৮৫ রান তাড়ায় নিকোলাস পুরানের হাফ সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিকের সঙ্গে শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ঝড় তুললেও জয়ের খরা কাটাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো ক্যারিবীয়রা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দীপক চাহারের লেংথ বল যখন উইকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো তখন বল কাইল মায়ার্সের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার ইশান কিশানের গ্লাভসে চলে যায়। যদিও তাতে আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিতে দেরি করেননি রোহিত শর্মা।
যেখানে রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাটের কানায় লেগে কিশানের গ্লাভস বন্দি হয়। তাতে ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মায়ার্স। বাঁহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার শাই হোপও। চাহারের সুইং বলে কিশানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৮ রান করা হোপ। এরপর অবশ্য পুরান ও রভম্যান পাওয়েল মিলে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন।
তাদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। তবে হার্শাল প্যাটেলের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে থাকা শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দেন ১৪ বলে ২৫ রান করা পাওয়েল। পাঁচে নামা অধিনায়ক পোলার্ডকে ইনিংস বড় করতে দেননি আইয়ার। ডানহাতি এই পেসারের আউট সাইড অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল বল তুলে মারতে গিয়ে ডিপ কভারে ক্যাচ দিয়েছেন ৫ রান করা পোলার্ড।
আশা জাগিয়ে ফিরেছেন জেসন হোল্ডারও। আইয়ারের ব্যাক অব লেংথ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন ২ রান করা হোল্ডার। রস্টন চেজ ফেরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার যখন সন্নিকটে তখন সিরিজে হ্যাটট্রিক হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পুরান। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
হাফ সেঞ্চুরির পর ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে পুরানকে। শার্দুলের স্লোয়ার বলে কিশানকে ক্যাচ দিয়ে ৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহ অধিনায়ক। শেষ দিকে শেফার্ড ২৯ রান করলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাতে ১৭ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। শুরুতে খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও শেষ দিকে ঝড় তুলেন সূর্যকুমার এবং আইয়ার। শেষ ৫ ওভারে তারা দুজনে মিলে তুলেন ৮৬ রান। ৩১ বলে ৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সূর্যকুমার আউট হলেও ১৯ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আইয়ার।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.