বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে দেওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার ও মনগড়া’ বলে অভিহিত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোহায়মিনুল বাশার রাজ ও শাহরিয়ার আবেদিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬ জানুয়ারির নারকীয় ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শাবির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনার মূল কুশীলব উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। পাশাপাশি তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ভয়াল ১৬ জানুয়ারির এক মাস পূর্তিতে আমরা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা বলতে চাই, আমরা কিছুই ভুলিনি। আমাদের সমস্ত দাবির বিষয়ে শিগগিরই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে- শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। তবে আমাদের শরীরে লাঠি, বুলেট, বোমার সব আঘাত, জখম, ঝরা রক্ত আমাদের মনে অক্ষয় শক্তির যোগান দিয়ে অঙ্গার হয়ে জ্বলছে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সব দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন সুস্পষ্ট আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছে। তবে অবাঞ্ছিত ঘোষিত উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ যদি ভাবেন তিনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবেন, তবে তা বিরাট ভুল করছেন। সমস্ত বাধা-বিপত্তি, ভয়-ডর উপেক্ষা করে শাবির শিক্ষার্থীরা প্রায় মাসব্যাপী অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব আন্দোলন চালিয়েছে। এর যৌক্তিকতা, ন্যায্যতা ও নৈতিক ভিত্তি কিছু দালাল ও চাটুকার ব্যতীত সারা দেশে সর্বজনস্বীকৃত।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে আমরা বলতে চাই, শাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গোটা জাতির কাছে সত্য হচ্ছে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উসকানিতে আপনার নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমাদের সতীর্থ সজল কুন্ডুর শরীরের ৮০টিরও বেশি স্প্লিন্টার, ২৮ টি ছেলেমেয়ের মরণপণ অনশন কখনও বৃথা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে শাবি শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণ নিশ্চিতে আচার্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের মিথ্যাচার ও মনগড়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.