ইংরেজি ভাষায় প্রচলিত আইন বাংলায় রূপান্তর চেয়ে আইনি নোটিশ

দেশের সর্বাধিক প্রচলিত আইনগুলো ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করে সর্বসাধারণের পাঠ উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত আইনসমূহের মধ্যে অনেক আইন রয়েছে, যা ইংরেজি ভাষায় প্রণীত। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রণীত আইনগুলো ইংরেজি ভাষায় প্রণীত ও প্রকাশিত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা ও অফিসিয়াল ভাষা বাংলা। এমতাবস্থায় ইংরেজিতে প্রণীত আইনসমূহের অনুমোদিত বাংলা পাঠ প্রকাশ না করা হলে দেশের মানুষ আইন জানা থেকে বঞ্চিত হবেন। কেননা, ইংরেজি জানার কারণে শুধু শিক্ষিত শ্রেণি আইন জানতে পারবেন এবং কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত শ্রেণি আইনের জ্ঞানলাভ থেকে বঞ্চিত হবেন; যা বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও প্রয়োগ করা আইনগুলোর মধ্যে দণ্ডবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইনের কোনও অনুমোদিত বাংলা পাঠ আজ পর্যন্ত সরকার প্রকাশ করেনি। আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়বসাইটেও কোনও বাংলা পাঠ পাওয়া যায়নি। ফলে জনগণ যে আইন পড়ে বুঝতে পারে না সে আইনে জনগণের শাস্তি দেওয়া অযৌক্তিক এবং জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

নোটিশে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় ফেব্রুয়ারি মাসে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ইংরেজিতে প্রণীত দেশের প্রচলিত সব আইনের অনুমোদিত বাংলা পাঠ প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি। মাতৃভাষায় আইন পড়তে পারা জনগণের মৌলিক অধিকার।

তাই নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ইংরেজি আইনগুলোর বাংলা পাঠ প্রচলনে নোটিশ গ্রহিতারা কী উদ্যোগ নিয়েছেন, তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন ও সংবিধান অনুসারে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.