ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজেই হারাল ভারত

জীবন পেয়ে ৬১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৭ রানের মাঝারি পুঁজি এনে দিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। তবে ক্যারিবীয় বোলাররা ভারতের ব্যাটারদের তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে না পারায় সহজেই জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজের ১-০ তে এগিয়ে গেলো ভারত।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে জয়ের জন্য ১৫৮ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ইনিংসেরি দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে রোমারি শেফার্ডকে ছক্কা মেরে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেন রোহিত। পরের ওভারে শেলডন কটরেলের বলে চার মারার পর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ওডেন স্মিথের ওপর তাণ্ডব চালান ভারতের দুই ওপেনার।

সমান দুটি করে চার এবং ছক্কায় স্মিথের এক ওভারে ২২ রান তোলে ভারত। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৮ রান। দারুণ ব্যাটিং থাকা রোহিতকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম উইকেট এনে দেন স্মিথ। ডানহাতি এই পেসারের মিডল স্টাম্পের বল তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ১৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলা রোহিত। যা স্মিথের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।

দলের রান ১০০ পেরোনোর আগেই সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার কিশান। চেজের বলে ফ্যাবিয়েন অ্যালিয়েনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৩৫ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। কোহলিও আউট হয়েছেন ইনিংস বড় করতে না পেরে। অ্যালেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন ১৭ রান করা কোহলি।

ইনিংস বড় করতে পারেননি ঋষভ পান্তও। ৮ বলে ৮ রান করে কটরেলের বলে আউট হয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে শেষ দিকে ভেঙ্কেটেশ আইয়ার এবং সূর্যকুমার যাদব মিলে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। ৩৪ রানে সূর্যকুমার এবং ২৪ রানের অপরাজিত ছিলেন না আইয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন চেজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট ১৫৭ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান এসেছে পুরানের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া কাইল মায়ার্স করেছেন ৩১ রান। ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়া রবি বিষ্ণই ম্যাচ সেরা হয়েছেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.