ক্রেডিট কার্ড চালুর আগে গ্রাহকদের থেকে কোনো ধরনের মাশুল আদায় না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব মাশুল আনাদায়ির দায়ে যাদের খেলাপি করা হয়েছে, তাদেরও নিয়মিত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এই সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর পরে কার্ড সক্রিয় করার পূর্বেই ব্যাংকগুলো এর বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল মাশুল (বার্ষিক ফি, সিআইবি ফি, এসএমএস ফি) আরোপ করা হচ্ছে এবং তা অনাদায়ে গ্রাহককে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা হচ্ছে। যার ফলে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে এবং গ্রাহক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ জন্য নতুন করে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মধ্যে রয়েছে- ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার পূর্বে গ্রাহকের ওপর কোনোরূপ নন-ট্রানজেকশনাল মাশুল আরোপ করা যাবে না। গ্রাহকের সম্মতি নিয়ে ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার পর নন-ট্রানজেকশনাল মাশুল আরোপ করা যাবে। তবে সক্রিয় ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন (কেনাকাটা, নগদ উত্তোলন বা অন্য কোন ধরনের মার্চেন্ট ট্রানজেকশন) সংক্রান্ত কোনো দায় না থাকলে অপরিশোধিত/বিলম্বে পরিশোধজনিত কারণে নন-ট্রানজেকশনাল মাশুলের ওপর অতিরিক্ত কোনোরূপ জরিমানা আরোপ করা যাবে না।
এছাড়া, নন-ট্রানজেকশনাল মাশুল এর ওপর কোনো অবস্থাতেই সুদ/মুনাফা আরোপ করা যাবে না। নন-ট্রানজেকশনাল মাশুল সংক্রান্ত অপরিশোধিত দায়ের জন্য গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় গ্রাহক কর্তৃক যথাসময়ে পরিশোধিত না হলে ঋণ শ্রেণিকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি বিষয়ক নীতিমালা অনুসরণ করে গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে। ক্রেডিট কার্ডের বিল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আদায় হলে আরোপিত নন-ট্রানজেকশনাল মাশুল সমন্বয়ের পরে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় সমন্বয় করা যাবে।
পাশাপাশি এই নীতিমালা জারির আগে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন সংক্রান্ত দায় না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অপরিশোধিত নন-ট্রানজেকশনাল মাশুলের কারণে যাদের খেলাপি করা হয়েছে, তাদের শ্রেণি মান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অর্থসূচক/এমএস/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.