খারাপের একটা সীমা থাকে, ক্ষোভ ঝেড়ে বললেন মুশফিক

কেনার লুইস বেশ ভালো ব্যাটিং করলেও প্রথম ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৬৬ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে চ্যাডউইক ওয়ালটন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তাতে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। এদিকে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৬৬ রান দেয়া খুলনা টাইগার্সরা শেষ দশ ওভারে দিয়েছে ১২৩ রান।

প্রায় দুইশ রানের বড় লক্ষ্য হলেও আন্দ্রে ফ্লেচারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ইয়াসির আলী রাব্বি এবং মুশফিকুর রহিমের ক্যামিওতে প্রায় জয় তুলে নিয়েছিল খুলনা টাইগার্স। শেষ দিকে জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও মিরাজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কাছে হেরে যায় তারা। এমন ম্যাচে ব্যাটিং নয়, মুশফিক আঙুল তুললেন বোলারদের দিকে। ম্যাচ শেষে বোলারদের নিয়ে ক্ষোভও ঝেড়েছেন খুলনার অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের সুযোগ ছিল খুবই ভালো করার। কারণ, ১০ ওভারে ৬০ রানে ওদের ওপরের দিকের ৩ উইকেট পড়ে গেছে (৬৬ রানে ৪ উইকেট)। সেখান থেকে যে কোনো দলের বিপক্ষে, যেই থাকুক না কেন ক্রিজে, শেষ ১০ ওভারে ১৩০ (১২৩) রান দেবেন, এটা আসলে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। উইকেট যতই ভালো হোক, আমি মনে করি আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটার ১০ শতাংশও বোলাররা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ভালোর একটা সীমা আছে, খারাপের একটা সীমা থাকে। ওই সীমাটা যদি আমরা কমিয়ে আনতে পারতাম, তাহলে হয়তো ১৭০, এমনকি ১৮০ রানও ভিন্ন ব্যাপার হতো। আপনারা সেটাই দেখলেন, আমরা ৫-৬ রানে হেরে গেলাম। এমনি ১-২ রানে অনেক ম্যাচ হেরে যায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, আর সেখানে তো…আমি মনে করি, ওই জায়গাতে খেলাটা ওরা সহজেই বের নিয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু বোলারদের হয়তো দায়িত্বটা আমি সেভাবে দিতে পারিনি এবং তারাও সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’

শুধু এলিমিনেটর নয়, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও আহামরী বোলিং করতে পারেননি নাভিন উল হক কিংবা সৈয়দ খালেদ আহমেদরা। যদিও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফ্লেচারের সেঞ্চুরি ও শেখ মেহেদির হাফ সেঞ্চুরি বড় লক্ষ্য তাড়া করতে পেরেছিলো খুলনা। শুধু এই দুই ম্যাচ নয়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই খুলনার বোলাররা তেমন ভালো বোলিং করতে পারেননি বলে মনে করেন মুশফিক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.