এ মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশা করি এ মাসের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ কমে যাবে। সে সময়ই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবো। যখনই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি, তখনই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিলো। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলো, চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে আবারও ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো, সেজন্য আবার আমাদের এটা বন্ধ করে দিতে হলো। তবে আমি আশা করি আমরা খুলে দিতে পারবো।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মূল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব ছেলেমেয়েকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকা নেওয়ার প্রতি অনেকেরই একটা অনীহা থাকে। তবে এখন আমরা সব স্তরের মানুষ; যারা টিকা পায়নি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে খুলতে পারি- সেজন্য টিকা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তাই এখন পর্যন্ত যারা টিকা নেননি তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে টিকা নিয়ে নিন। তাতে করোনা সংক্রমিত হলেও খারাপ পর্যায়ে যাবে না।

তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে আমরা আশা করি, এই মাসের শেষের দিকে হয়তো পরিস্থিতি বদলাবে এবং তখন হয়তো আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার খুলে দিতে পারবো।’

এ সময় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ এবং বিদেশে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সময়ের উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের দোরগোড়ায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদের যদি আমরা উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারি, তাহলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ এবং বিশ্বব্যাপী যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; তা তারা নিতে পারবে। তাদের সেভাবেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে। গতানুগতিক ডিগ্রি নিলেই হবে না। কর্মসংস্থানের উপযুক্ত শিক্ষাই গ্রহণ করতে হবে, সেই শিক্ষাই আমাদের দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে আমরা অনলাইনে সীমিত আকারে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে সক্ষম হই। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি বলেই, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও আমি বলবো, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে, কলেজে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে; তাদের জন্য সুন্দর পরিবেশ থাকবে। বর্তমান সময়ে অনেককেই একাকিত্বে ভুগতে হয়েছে। সঠিকভাবে পড়াশোনার সুযোগ পায়নি। অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ করেছি ঠিকই, কিন্তু স্কুলে কলেজে যে পরিবেশ সেই একাগ্রতা থেকে তারা বঞ্চিত ছিল।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.