সাকিবের পাঁচে পাঁচ, বিদায়ের শঙ্কায় ঢাকা

শুরুর দিকে ধুঁকলেও বিপিএলের মাঝ পথে এসে নিজের সেরা ছন্দ খুঁজে পান সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে ছন্দ পায় তার দল ফরচুন বরিশালও। সাকিবের হাফ সেঞ্চুরিতে গ্রুপ পর্বে নিজের শেষ ম্যাচেও ৮ উইকেটের বড় জয় পায় তারা। বল হাতে ১ উইকেট নেয়ার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিনও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন। তাতে বিপিএলের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।

এদিকে বরিশালের কাছে হেরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় ঢাকা। প্লে অফে উঠার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী কালের দুটি ম্যাচের দিকে। জয়ের জন্য ১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশাল। মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাটে রান আসতে থাকলেও জ্বলে উঠতে পারছিলেন না ক্রিস গেইল। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ধুঁকতে থাকা গেইলকে ফেরান শফিউল ইসলাম।

ফজল হক ফারুকীকে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়েন মুনিম। আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকা ডানহাতি এই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন কায়েস আহমেদ।

ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে শামসুর রহমান শুভকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৫ বলে ৩৭ রান করা মুনিম। ইনিংসটি খেলতে সমান সংখ্যক তিনটি করে ছক্কা ও চার মেরেছেন বরিশালের এই ওপেনার। পরের গল্পটা কেবলই সাকিবের। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বরিশালকে জয় এনে দেন সাকিব। শুরুর দিকে খানিকটা ধীরে ব্যাটিং করলেও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওভারে ২৩ রান নিয়ে বরিশালের জয়টা সহজ করেন। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও ধার বাড়ে সাকিবের। দলকে ৮ উইকেটের বড় জয় এনে দেয়ার সঙ্গে ২৯ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে সঙ্গ দেয়া শান্ত অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ২৮ রান করে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন তামিম ইকবাল। এ ছাড়া ২১ রান এসেছে শুভাগত হোমের ব্যাট থেকে। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিকুল ইসলাম, ডোয়াইন ব্রাভো এবং মেহেদি হাসান রানা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.