খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল টেম্পারিং করে ধরা পড়ে শাস্তি পেয়েছেন রবি বোপারা। যদিও সিলেট সানরাইজার্সের এই অধিনায়ক জানিয়েছেন টেম্পারিং করেননি তিনি। নাকাল বলের সঠিক গ্রিপ খুঁজতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন তিনি।
বল টেম্পারিং কাণ্ডে বোপারার ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন। এর আগে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেটকে ৫ রান জরিমানাও করা হয় তাৎক্ষণিক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর বল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বোপারা বলেছেন, ‘যেটা হয়েছে আমি নাকল বল করছিলাম। কিছু সময় আমি এভাবে বল গ্রিপ করি, আবার কিছু সময় আরেকবারে করি। কখনো অফ কাটার করি। আর নাকল করতে হলে এভাবে (আঙুলের অগ্রভাগ দিয়ে বল ধরা) ধরতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই গ্রিপ খুব সহজ না। বিশেষ করে ভেজা বলে। আপনাকে বলের ভাল অংশ ধরতে হবে যাতে আত্মবিশ্বাস আসে। না হলে বল হাত থেকে ছুটে যেতে পারে। কাজেই বলটা ঠিক জায়গায় ধরার ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় এটা একটা ভুল ছিল, দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু এটাই জীবন।’
বোপারা নিজের মতো ব্যাখ্যা দিলেও আম্পায়ারদের মনঃপুত হয়নি তা। এ কারণে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল তাকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার শাস্তি দিয়েছিলেন। যদিও এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন বোপারা। বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি তার শাস্তি কমিয়ে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেনকে সরিয়ে হুট করেই বোপারাকে অধিনায়কত্ব দেয় সিলেট। সেই ম্যাচেই বোপারার বল টেম্পারিং টুর্নামেন্টটিকেই আতশি কাঁচের নিচে নিয়ে আসে। এর আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স টুর্নামেন্টের মাঝ পথে দুইবার অধিনায়ক পরিবর্তন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.