সিইসি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা

হাইকোর্টের আদেশের পরও গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুর হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাকির আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পর নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ১৯ জুন চিঠি পাঠিয়ে দলটির নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে। পরে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি উচ্চ আদালতে ২০১৮ সালে রিট দায়ের করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রিট মামলাটি উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

পরে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে রায় ও আদেশের সত্যায়িত কপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের কপি ইসিতে পাঠানো হয়। তবে আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনেও প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই রাজনৈতিক দলটির পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও ফল না পাওয়ায় ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে ইসি বরাবর আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।

কিন্তু নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পুনরায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ সাকি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে মামলা দায়ের করলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.