ইভ্যালির রাসেলসহ পরিবারের ব্যাংক হিসাব কেন জব্দ করা হবে না: হাইকোর্ট

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও মেয়ের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব কেন জব্দ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের শো’কজ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শো’কজের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বোর্ডের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।

এদিকে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির কিছু গাড়ি নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। ডিএমপি কমিশনার এবং র‌্যাবের ডিজিকে নিলামের স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ইভ্যালির লিগ্যাল টিমের কো-অর্ডিনেটর দাবি করে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোডকারী নিঝুম মজুমদারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে একজন ক্রেতা ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করার পাঁচ মাস পরও তা বুঝে না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে বার বার অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত একটি নোটিশ ইস্যু করেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না।

এরপর গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীরকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.