ফ্লেচার-সৌম্যর ঝড়ে সিলেটের হার

পাওয়ার প্লে’তে ঝড় তুলে খুলনা টাইগার্সের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। সঙ্গী সৌম্য সরকারও ব্যাটে রান পেয়ে এই ক্যারিবিয়ানকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন। পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৬৫ রান তোলা মুশফিকুর রহিমের দল এরপর আর পেছনে ফিরে তাকায়নি। ফ্লেচারের অপরাজিত ৭১ ও সৌম্যর ৪৩ রানের ইনিংসের সঙ্গে, থিসারা পেরেরার ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ২ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল দলটি। এদিন সিলেট সানরাইজার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। সিলেটের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন নাজমুল ইসলাম অপু।

মিরপুরে ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার হয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ফ্লেচার। দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ গাজীর প্রথম ৩ বলে এক ছক্কা ও ২ চার হাঁকান তিনি। পরের ওভারে আরব আমিরাতের সিরাজ আহমেদকে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য। এরপর পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে যেন সিলেটের বোলারদের ওপর তান্ডব চালান দুই ওপেনার। নাজমুল অপুর ওভারে ১৫ রান নেয়ার পরের ওভারে মোসাদ্দেককে হ্যাটট্রিক ছক্কা হাঁকান ফ্লেচার। যদিও ওভারের পঞ্চম বলে সিলেটের এই অধিনায়কের হাতেই জীবন পান তিনি।

৬ ওভারে ৬৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলেই থামেননি খুলনার এই দুই ওপেনার। স্ট্র্যাটেজিং টাইম আউটে যাওয়ার আগে মুশফিকবাহিনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ ওভারে ৮১ রান। সে সময় দলটির প্রয়োজন ৬৬ বলে ৬২ রান। বিরতির পর নেমে ১১তম ওভারে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ফ্লেচার।

সঙ্গী হাফ সেঞ্চুরি পেলেও এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি সৌম্য। দলীয় ৯৯ রানে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে অপুর শিকার হয়ে ফেরেন এই ওপেনার। তবে সৌম্য ফিরলেও থিসারা পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফ্লেচার।১২তম ওভারে মুক্তার আলীর ওভারে আসে ২০ রান, ফ্লেচার নেন ১৫।

খুলনার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে থিসারা পেরেরাও যোগ হন ফ্লেচারের সঙ্গে। ১৪তম ওভারে এসে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে মুশফিকদের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২২ রানে, ফ্লেচার করেন ৪৭ বলে ৭১।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান তুলতেই ৩ ব্যাটসমানকে হারায় সিলেট। ৮.১ ওভারে দুই বিদেশি ইনগ্রাম ও সিমন্সের সঙ্গে বিজয়কে হারিয়ে চাপে পড়া দলটিকে টেনে তোলেন মোসাদ্দেক ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজন মিলে দলকে ১০০’র ওপর নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে যোগ করেন ৫০ বলে ৬৮ রান। মোসাদ্দেক ৪৩ করে ফিরলেও মিঠুন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৫১ বলে ৭২ রান। ৫ উইকেটে ১৪২ রানের পুঁজি পায় সিলেট। ২০ রানে ২ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.