বিপিএলে ডিআরএস না থাকায় প্রথম কয়েক ম্যাচেই আম্পায়ারিং নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। ঢাকা পর্বে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে মিনিস্টার ঢাকার দুই ব্যাটার মোহাম্মদ নাইম শেখ ও আন্দ্রে রাসেলকে আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয়েছিল। ক্রিকেট বিশ্লেষক কিংবা সমর্থকরা যখন সমালোচনায় ব্যস্ত তখন সমস্যা সমাধানে অল্টারনেটিভ ডিসিশান রিভিউ সিস্টেম বা এডিআরএসের দ্বারস্থ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
মূলত এলবিডব্লিউ আউটের শঙ্কা দূরীকরণেই এমন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে বিসিবি। বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি না থাকায় পিচে স্টাম্প সোজা ‘শেডেড এরিয়া’ তৈরি করে বল কোথায় পিচ করেছে, ইমপ্যাক্ট কোথায়, স্নিকোমিটার কিংবা আল্ট্রা-এজ না থাকায় স্টাম্প মাইক্রোফোনের শব্দের সঙ্গে ভিডিওর সামঞ্জস্য বিবেচনা করেই মূলত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন টিভি আম্পায়াররা।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব থেকেই দেখা মেলেছে এডিআরএসের। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক, ম্যানেজার কিংবা অধিনায়কদের সম্মতিতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও পুরোপুরি মেলেনি সমাধান। যদিও ঢাকা পর্বের চেয়ে চট্টগ্রামে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কম দেখা গেছে। বিতর্কের অবসান ঘটাতে বিপিএলের শেষ দিকে যুক্ত হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ডিআরএস।
মূলত ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজের জন্য ডিআরএস আনছে বিসিবি। তবে বিপিএলের শেষ দিকে বিতর্ক সামাল দিতে সেমিফাইনাল, ফাইনালসহ সবশেষ ৭ ম্যাচে ডিআরএস রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি। বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শুরু আফগানিস্তান না আমাদের শেষের অংশে বিপিএলের যে ম্যাচগুলো হবে সেখানেও ডিআরএসকে ইন্ট্রোডিউস করা যায় কী না। সে প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে, তো আমাদের চেষ্টা থাকবে যে অন্তত আমাদের শেষ দিকের যে ম্যাচগুলো হবে ঢাকাতে প্লান আফগানিস্তান সিরিজে ডিআরএসটাকে ইনসিউর করার জন্য। ফুল ডিআরএসটা আর কি।’
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যালারিতে বসে বিপিএল দেখার সুযোগ পাচ্ছে না দর্শকরা। আপাতত দর্শকবিহীন ম্যাচ আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। এমন নিয়ম বহাল থাকলে একই চিত্র দেখা যেতে পারে ঘরের মাঠে আফগান সিরিজেও। তবে দর্শকদের নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন সিইও।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.