মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন ও কানাডা

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলো। সামরিক জান্তা সরকারের হাতে ক্ষমতার এই এক বছরের পূর্তিতে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং কানাডা।

মার্কিন রাজস্ব বিভাগ মিয়ানমারের অ্যাটর্নি জেনারেল থিদা ও’, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টুন টুন ও’ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান উ তিন ও’-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

২১২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সামরিক বাহিনী। এর এক বছরের মাথায় নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা দিলো মার্কিন রাজস্ব এবং পররাষ্ট্র দপ্তর।

এদিকে ব্রিটেন বলছে তারা থিদা ও’, টিন ও’ এবং ইউ থেইন সোয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউ থেইন সোয়ে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা যিনি অভ্যুত্থানের পর দেশটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, বার্মার জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থন প্রদর্শন এবং অভ্যুত্থান ও সামরিক শাসকদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ব্রিটেন এবং কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.