১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এতদিন ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শুধু স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এখন এটা ওপেন করে দেওয়া হলো। টিকা কর্মসূচি আরও বাড়ানোর জন্য আমরা ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছে, তাদের সবাইকে এখন থেকে টিকা দিব। স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়ে গেছে, এখন ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যেখানে যে আছে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) ভবনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং করোনা পরিস্থিতি বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বয়সী সবারইতো স্কুলে যাওয়ার কথা। তারপরও আমরা চিন্তা করলাম, অনেকেই হয়তো আসে না বা কাজকর্মে থাকে; সেজন্য বিভিন্ন যায়গায় যারা আছেন, ১২ বছরে ঊর্ধ্বে হলেই সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হলেই তিনি টিকা পাবেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, জানুয়ারি মাসে দেশে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা এ যাবত প্রায় ১৫ কোটি ৭০ লাখ টিকা দিয়েছি। আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে টিকার প্রথম ডোজ ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দ্বিতীয় ডোজও আশানুরূপভাবে বাড়বে। আমাদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১২ কোটি। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ কোটি টিকা দেওয়া হলে আর আড়াই কোটি ডোজ টিকা দেওয়া বাকি থাকবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা টিকা কর্মসূচি ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। তবে এখন টিকা দেওয়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে আমরা আরও কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যারা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন (যেমন- বাস মালিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি) তাদের লোকজনকে যেন টিকা নিতে বাধ্য করে, সেজন্য আমরা চিঠি দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গেল বছর নভেম্বরের প্রথম দিন থেকে দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এরই মধ্যে ১ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি স্কুল শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.