সিলেট সানরাইজার্সের ১৭৫ রানের জবাবে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। যেখানে বড় অবদান তামিম ইকবালের। ড্যাশিং এই ওপেনার এদিন বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তার মতে, টি-টোয়েন্টিতে শুধু ধুম-ধারাক্কা ব্যাটিং না করে, বলের গুণাগুণ অনুযায়ী খেললেও বড় রান করা সম্ভব। সেই সূত্রেই সফল হয়েছেন তামিম।
সিলেটের বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন ঢাকার দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং তামিম। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন ব্যাট হাতে বাইশ গজে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন চট্টগ্রামের লোকাল বয় খ্যাত তামিম। বিশেষ করে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে লং অফের উপর দিয়ে তার ছক্কা মারর দৃশ্য মুগ্ধ করেছে সবাইকে। তাছাড়া কাভার ড্রাইভ কিংবা ফ্লিকে সহজেই রান আদায় করে নিয়েছেন এই ড্যাশিং ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত ১১১ রানের কল্যাণে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই সিলেটের পাহাড় টপকায় ঢাকা।
ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘আপনাকে স্কিল নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে ক্রিকেটিং শট খেলার। ক্রিকেটে আপনি আপনার দুর্বলতা নিয়ে কাজ করলে তারপর সফল হবেন। টি-টোয়েন্টি শুধু ধুম-ধারাক্কার খেলা নয়, আপনি যদি নিজেকে সংযত রেখে সঠিক শট খেলতে পারেন, তাহলে রান পাবেন।’
বিপিএলের এবারের আসরে উইকেট নিয়ে সমালোচনা না থাকলেও বড় রান পাচ্ছিলেন না ব্যাটাররা। ঢাকা পর্ব শেষে চট্টগ্রামে এসে প্রথম দিনেই দুই সেঞ্চুরি দেখল দর্শকরা। এদিন তামিমের আগে সিলেটের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ল্যান্ডল সিমন্স। এই ক্যারিবী ওপেনারের ১১৬ রানের ওপর ভর করে ১৭৫ রান তোলে দল।
তামিম বলেন, ‘একজন ১১৬ করার পর তারা ১৭৫ রান তুলেছিল এবং আমি এটাতে খুশি ছিলাম। শেষ ওভারে মাত্র ৪-৫ রান নিয়েছিল। উইকেট ভালো ছিল। আমি জানতাম, আমরা যদি শুরুটা ভালো করতে পারি তাহলে সুযোগ আসবে, তারা যদি ২২০ রান করতো…আমি এবং শাহজাদ দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিলাম এবং কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
অথূর্সচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.