অদক্ষতার কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না বা অদক্ষদের পদোন্নতি দিতে হবে-এমন কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা ও বিধিমালা অনুসরণে প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোনো বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়নি।’
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি এ বিষয়ে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপন স্পষ্ট করতে নতুন এই প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০ জানুয়ারির ওই প্রজ্ঞাপনে, দেশের বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি শুরুর বেতনকাঠামো বেঁধে দেয়া হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছিল, অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার/ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার/ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা- যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যুনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা।
শিক্ষানবিশকাল শেষে এ ধরনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের শুরুর মূল বেতনসহ ন্যূনতম মোট বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা।
পাশাপাশি শুধু নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে বা অদক্ষতার অজুহাতে কোনো ব্যাংকারকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় আগের প্রজ্ঞাপনে।
আজকের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আগের নির্দেশনা সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ না করে কোনো কোনো পর্যায় থেকে খ-িতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা পরিপালনে ব্যাংকগুলোতে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কাম্য নয়।
‘এক্ষণে, সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূরীকরণ এবং উক্ত নির্দেশনা স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, অদক্ষতার কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বা অদক্ষদের পদোন্নতি দিতে হবে- এ ধরনের নির্দেশনা প্রজ্ঞাপনের কোথাও বলা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট বা প্রমাণিত অভিযোগ থাকতে হবে। শুধু আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারা বা কোনো ধরনের প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়াই অদক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত অথবা চাকরিচ্যুত অথবা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।
অর্থসূচক/ এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.