ফের তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমান

সাম্প্রতিক অতীতে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের বিতর্ক চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। গত এক বছরে একাধিকবার তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। তবে নতুন বছরে রোববারই প্রথম এ কাজ করল চীন। তাইওয়ানের সামরিক মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৪টি যু্দ্ধবিমান বা ফাইটার এবং একটি এইচ ৬ বোমারু বিমান ছিল ওই কনভয়ে।

তাইওয়ান জানিয়েছে, দেশের উত্তর পূর্বে প্রটাস দ্বীপের দিকে উড়ে যায় বিমানগুলো। যে প্রটাস দ্বীপ তাইওয়ানের এডিআইজেডের মধ্যে পড়ে। চীনের বিমান আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাইওয়ানের যুদ্ধবিমান আকাশে উড়ে যায়। চীনের বিমানকে চলে যাওয়ার রেডিও সিগন্যাল দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের অ্যান্টি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও সচল করে দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ৫৬টি বিমানের একটি কনভয় পাঠিয়েছিল চীন। এখনো পর্যন্ত সেইটেই সবচেয়ে বড় চীনের যুদ্ধবিমানের কনভয় বলে তাইওয়ান জানিয়েছে।

ওয়ান চীন নীতি নিয়ে চলছে চীন। যার মধ্যে তাইওয়ান, হংকং সবই আছে। যে কারণে তাইওয়ানে বার বার যুদ্ধবিমান পাঠানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা ওয়ান চীন নীতির বিরোধী নয়। কিন্তু একইসঙ্গে তাইওয়ানকে সবরকম প্রোটেকশন দেওয়াও আমেরিকার দায়িত্ব। এ বিষয়ে আমেরিকা চুক্তিবদ্ধ। গত এক বছরে তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্যও করেছে আমেরিকা। অন্যদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের শক্তিও বৃদ্ধি করেছে মার্কিন নৌসেনা। চীন যেভাবে হংকং এবং তাইওয়ানের উপর আগ্রাসি মনোভাব দেখাচ্ছে, আমেরিকা প্রকাশ্যেই তার বিরোধিতা করছে।

এদিকে রোববারের ঘটনা নিয়ে তাইওয়ান মুখ খুললেও এখনো পর্যন্ত চীন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে চীন জানিয়েছিল, তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধবিমান পাঠানো নেহাতই রুটিন মহড়া। তাইওয়ান তাদের অংশ। ফলে সেখানে তারা যুদ্ধবিমান পাঠাতেই পারে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.