ডমিঙ্গোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি

ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলকে। ইতোমধ্যেই টিম ম্যানেজমেন্টে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। যদিও রাসেল ডমিঙ্গো প্রসঙ্গে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর আভাস ছিল বড়-সর পরিবর্তন আসছে বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে। ইতোমধ্যেই তার বাস্তবায়নও দেখা যাচ্ছে। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক এবং ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্সের সঙ্গে চুক্তি নবায়ব করেনি বিসিবি। আর সর্বশেষ বোলিং কোচ ওটিস গিবসনও বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি নবায়ন করেননি।

এদিকে বিসিবি এসব শূন্য পদে ইতোমধ্য্যেই নিয়োগ দিতেও শুরু করেছে। ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে এই মাসের শেষে বা আগামী মাসে্র শুরুতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন জেমি সিডন্স। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, এই জানুয়ারিতে প্রধান কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। যদিও জানুয়ারির মাঝামাঝিতেও নেয়া হয়নি কোনো সিদ্ধান্ত।

বৃহস্প্রতিবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেটে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ‘আমাদের হাতে এখন হেড কোচ নেই। জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়ে এসেছি। এই মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে চলে আসবে। হেড কোচ কিন্তু এখন হাতে নেই। কয়েকদিন আগে মাননীয় সভাপতিও বলেছেন নিশ্চয়ই মনে আছে, সামনে যেহেতু আমাদের হাতে কোনো কোচ নেই এবং হেড কোচকে একটা চুক্তির আওতায় এনেছি, আমরা তাকে নিয়েই কন্টিনিউ করছি। যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে, উনি বলেছেন জানুয়ারিতে পরিবর্তন হতে পারে। আমরা সবাই মিলে, শুধু ক্রিকেট অপারেশন্সই না, নির্বাচকের মত পদও বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে।’

চলতি বছর বাংলাদেশের সামনে ব্যস্ত সূচি অপেক্ষা করছে। তাই কোচিং প্যানেলে রদ-বদলের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটিও মাথায় রাখছে বিসিবি। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এখন ব্যাক টু ব্যাক খেলা। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে বিপিএল এখন, এরপর আফগানিস্তান সিরিজ। এরপর চলে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন ব্যস্ত সূচির মধ্যে… এখন পর্যন্ত ডমিঙ্গো বহাল আছে। তবে আমাদের মাথায় পুরো কোচিং প্যানেল নিয়ে চিন্তা আছে। গিবসন চলে গেল, সিডন্স আসবে… আমাদের ঢালাওভাবে সাজাতে হবে।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.