সারাদেশে লঞ্চ, জাহাজ ও অভ্যন্তরীণ নৌ যানের ফিটনেস, রুট পারমিট, লাইসেন্স ও নিরাপত্তা সামগ্রীর হালনাগাদ তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কেউ আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করলে স্ব স্ব জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি লঞ্চ দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত ও নিহতদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সেটাও আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক, সৌমিত্র সরদার ও আবু রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে লঞ্চ ও জাহাজের ফিটনেস, রুট পারমিট, লাইসেন্স ও নিরাপত্তা সামগ্রীর হালনাগাদ তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী সৌমিত্র সরদার। রিট আবেদনে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।
একইসঙ্গে রিটে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং তাদের অবহেলা ছিল কিনা তা খুঁজে বের করার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি ওই দুর্ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.