সেনা সদস্য হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঝিনাইদহের সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ‌মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনজন আসামি পলাতক ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের আকিমুল ইসলাম, একই উপজেলার বোড়াই গ্রামের মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, চুয়াডাঙ্গা জেলার ভুলতিয়া গ্রামের ডালিম মোল্লা, সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের মো. আব্বাস আলী, একই গ্রামের মো. আবুল কাশেম, মো. ফারুক হোসেন, বংকিরা গ্রামের মো. মতিয়ার রহমান ওরফে ফনে এবং সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মো. মুক্তার হোসেন ওরফে মুক্তার। তাদের মধ্যে মতিয়ার রহমান, মুক্তার হোসেন এবং ডালিম মোল্লা পলাতক। ডালিম উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে সৌদি আরব পালিয়েছেন।

আদালতের সূত্র জানান, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেল পাশের বদরগঞ্জ বাজার (দশমাইল) থেকে ছোট ভাই নৌবাহিনীর করপোরাল মনিরুল ইসলাম ও শ্বশুর শামসুল মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা (পশ্চিমপাড়া) ফিরছিলেন সাইফ। পথে বেলতলাদাড়ির মাঠ নামক স্থানে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় তাকে। নিহত সেনা সদস্য টাঙ্গাইল সালাউদ্দিন সেনানিবাসের মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টারে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনার একদিন আগে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যান তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. হাফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের (১নং) আসামি আকিমুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, হত্যায় ব্যবহার করা দা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে দেয় সে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন ঝিনাইদহ সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক অপারেশন মো. মহসীন হোসেন আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.