যথাযথ মর্যাদায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো তিতুমীর কলেজ

মামুনূর রহমান হৃদয়, তিতুমীর কলেজ থেকে: ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ (১৪ নভেম্বর) উপলক্ষে ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে পুষ্পস্তবক অপর্ণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় অধ্যক্ষ কর্তৃক কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিতে উপাধ্যক্ষ মো: মহিউদ্দিন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এএসএম আসাদুজ্জামান, বিভাগীয় প্রধানগণ ও ছাত্রনেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করা হয়।

এরপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপাধ্যক্ষ মো: মহিউদ্দিন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এএসএম আসাদুজ্জামান, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক তালাত সুলতানা বলেন, স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তীতে বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। একটি জাতীকে মেধাশূন্য করতে পাক হানাদার বাহিনীরা নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। যার ফলে জাতি হারিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের। দুইদিন পরই বিজয় দিবস আর তখনই এই জাতীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের রাতের আধারে হত্যা করা হয়। বিজয়ী জাতীর আকাশে নেমে আসে এক কালো অধ্যায়। স্বাধীনতার পঞ্চাশে এসেও আমরা তাদের অবদান ও শূন্যতা অনুভব করছি।

অধ্যাপক মহিউদ্দিন বলেন, বাঙালিদেরকে আজীবন পঙ্গু করে দেওয়ার জন্যে পাকিস্তান হানাদারদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে।

শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, বাঙালি জাতি যাতে আর কোন দিন মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে তার জন্যে ১৯৭১ সালের ১০-১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তৃতায় প্রফেসর ড. মিয়া ইনামুল হক সিদ্দিকী মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস পুনঃপাঠ করে বলেন, পাকিস্তানের দোসররা যে পরিকল্পনা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল তাদের সে পরিকল্পনা আজ ব্যার্থ হয়েছে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ৫০ বছরে এসে তিনি দাবি করেন, এদেশের সূর্য সন্তানদের হত্যায় জড়িতদের বিচার যেন এ বাংলায় হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও শহিদ বুদ্ধিজীবীগণের আত্মার মাগফেরাত কামনায় তিতুমীর কলেজ মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিকেলে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্য কলেজ প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করার কথা রয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.