যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডব, নিহত ৭০

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিসহ ছয়টি রাজ্যে একাধিক টর্নেডো আঘাত হেনেছে। এসব রাজ্যের মধ্যে কেন্টাকিতেই টর্নেডোর আঘাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে টর্নেডোটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছেন গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার। এদিকে এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘তাকে টর্নেডোর বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’

এদিকে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, ‘ধরণা করা হচ্ছে প্রাকৃতিক এ দুর্যেোগে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।’ খবর- বিবিসির

অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, ঘণ্টায় ২২৭ মাইল গতিতে কোন্টাকিতে টর্নেডো আঘাত হানে। গ্রেভস কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে মেফিল্ড শহরটিও রয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। উদ্ধার তৎপরতার জন্য ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।

অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, মেফিল্ডের একটি কারখানার ছাদ ধসে পড়েছে। ওই কারখানার ভেতরে শতাধিক শ্রমিক ছিল। অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ওই কারখানাটিতে ঘটেছে।

গভর্নর বলেছিলেন, ‘এটি সবচেয়ে টর্নেডোর সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতি হতে যাচ্ছে, যা আমরা দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দেখেনি। এটি সম্ভবত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক টর্নেডো হতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, কেন্টাকিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে এবং সম্ভবত তা ৭০ থেকে ১০০ হবে।’

আবহাওয়া দপ্তরের টর্নেডো পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা ইলিনয়, কেন্টাকি, টেনিসি, মিসৌরি, আরকানসাস ও মিসিসিপিতে ৩৬টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পেয়েছেন।

এদিকে ইলিনয় রাজ্যটিতে ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টুইট বার্তায় বলেন, ‘এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রিয়জন হারানো খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলোর গভর্নরদের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছি। একই সঙ্গে বেঁচে যাওয়াদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে নির্দেশ দিয়েছি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.