সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন এসেছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণটির খেলায় আগে শুধু ব্যাটারদের দাপট থাকলেও, গেল কয়েকবছরে বোলাররাও দাপট দেখাচ্ছেন। বোলারদের সুনিয়ন্ত্রিত পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে শুরু থেকেই উইকেট হাতে রেখে খেলতে থাকেন কোনো দলের ওপেনার ব্যাটাররা। ফলে ছয় ওভারের পাওয়ার প্লে’তে অনেক বেশি আগ্রাসী ইনিংস দেখা যায় না বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে। এই মনোভাবের সঙ্গে একমত নন ক্রিস গেইল। ‘ইউনিভার্স বস’ মনে করেন, টি-টোয়েন্টির বিনোদন নষ্ট করছেন বর্তমান সময়ের ওপেনাররা।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা গেছে ম্যাচের শুরুর দিকে বোলারদের দাপট। অথচ টি-টোয়েন্টি সংস্করণ শুরু হওয়ার সময়ে উইকেটের পরোয়া না করে প্রথম থেকেই মেরে খেলতেন কোনো দলের ওপেনাররা। টি-টোয়েন্টি ওপেনারদের বর্তমান সময়ের মানসিকতার ঘোর বিরোধী এই সংস্করণে ১৪ হাজারের বেশি রান করা গেইল। ওপেনাররা শুরু থেকে আগ্রাসী খেলতে থাকায় ও ক্রিকেটের বিনোদন বজায় থাকায় বর্তমান সময়ে টি-টেন ক্রিকেটের প্রশংসা করেছেন তিনি।
গেইল বলেন, ‘আমি জানি না প্রথম ছয় ওভারে ব্যাটাররা পিছিয়ে পড়ছে কেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যখন শুরু হয়েছিল, তখন প্রথম বল থেকেই সবাই মারতে চাইতো। আপনি যদি টি-টোয়েন্টির ইতিহাস দেখেন, তাহলে এটাই দেখবেন। তারা (বর্তমান সময়ের ওপেনাররা) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিনোদন নষ্ট করছে। কেননা প্রথম ছয় ওভারে আমরা অনেক সুবিধা পাই, যেখানে তারা সময় নিতে থাকে। আমার এটা পছন্দ না। আমি মনে করি, ওপেনারদের শুরু থেকেই আগ্রাসী হওয়া উচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিনোদন বজায় রাখা উচিত। প্রথম ছয় ওভারে আমাদের সেই আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখা উচিত।’
বর্তমান সময়ে টি-টেন ক্রিকেট যেভাবে চলছে, ঠিক একই দর্শনে আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন গেইল। সারাবিশ্বে টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়ানো ক্যারিবিয়ান এই সুপারস্টারের নজর কেড়েছে টি-টেন ক্রিকেট।
তিনি বলেন, ‘টি-টেন ক্রিকেট এখন যেভাবে চলে আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ওরকম ছিল। প্রথম ওভার থেকেই ব্যাটাররা আগ্রাসী খেলত। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নাটকীয়ভাবে মন্থর হয়ে পড়েছে। টি-টেনের মান ভালো হচ্ছে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.