বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রফতানি বৃদ্ধির আহবান ভিয়েতনামের

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদ এবং বাংলাদেশ সফরত ৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা রবিবার (১৭ নভেম্বর) তারিখে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশস্থ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন ভিয়েতনামের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ কে ডিসিসিআইতে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বিবেচনায় ভিয়েতনামের অবস্থান ১৮, তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ৪৪তম। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৩৯.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমাদানি- রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৭৮.৬ এবং ৬১.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শিল্পখাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ভিয়েতনামের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্ববান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।

তিনি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে ঢাকা ও হ্যানয়ের মধ্যকার বিমান যোগাযোগ চালুর প্রস্তাব করেন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন জানায়, বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ভিয়েতনামে আরো বেশি হারে পণ্য রপ্তানির দিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন, সেই সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা পরিচালনায় সময় ও ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষকরে পণ্য ওঠা-নামায় সময় হ্রাসের পাশাপাশি বন্দরের অন্যান্য সেবা দ্রুততম সময় নিশ্চিতকরণের অহ্ববান জানান।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করে বলেন, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাথর, ক্লিংকার, খাদ্যজাত পণ্য ও মশলা প্রভৃতি ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করতে পারে, সেই সাথে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ঔষধ ভিয়তনামে রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন।

ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/আরএমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.