ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রিসোর্টে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বুধবার (৩ নভেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিচারক ছুটিতে থাকায় নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমানের আদালতে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন। এ সময় আদালতে কাঠগড়ায় আসামির উপস্থিপিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এর আগে মামুনুলকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গাজীপুরের হাই-সিকিউরিটি কাশিমপুর কারাগার থেকে সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। পরে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয় তাকে। পরে আদালতে তোলা হলে অভিযোগ গঠনের পর আবারও কঠোর নিরাপত্তা মধ্য দিয়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে স্ত্রী পরিচয়ে দিয়ে জান্নাত আরা ঝর্নাকে নিয়ে এক কক্ষে অবস্থান করেন মামুনুল হক। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের কর্মীরা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে তারা পুলিশ হেফাজত থেকে মামুনুল হকসহ ওই নারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে হেফাজতের কর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং যুবলীগ সভাপতির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। হামলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই শতাধিক যানবাহনে। এ ঘটনায় সংহিসতার অভিযোগ এনে পুলিশ ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে মামুনুল হককে আসামি করে দুটি মামলা করেন।

রিসোর্টকাণ্ডের দিন সঙ্গীনিকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আর সংহিসতার মামলায় ১৮ এপ্রিল গ্রেফতারের পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে গত দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু বিয়ে করবেন বলে আর করেননি।

ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম গত ১০ সেপ্টম্বর আদালতে মামুনুল হককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.